বিশ্ব

ট্রাম্প-মামদানি সাক্ষাৎ: নিউইয়র্ক রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ?

ট্রাম্প-মামদানি সাক্ষাৎ: নিউইয়র্ক রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ?

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়ে হোয়াইট হাউসে দেখা করতে চলেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। আগামী শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ওভাল অফিসে এই দুই নেতার নির্ধারিত সাক্ষাৎ ঘিরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে চলছে তীব্র জল্পনা-কল্পনা। ঐতিহ্যগতভাবে এই ধরনের উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক নতুন মেয়রের কার্যভার গ্রহণের আগে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হলেও, ট্রাম্পের সঙ্গে মামদানির এই সাক্ষাৎ বহুমাত্রিক তাৎপর্য বহন করছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই বুধবার (১৯ নভেম্বর) তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যালে' এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, "আমরা এই মর্মে একমত হয়েছি যে ২১ নভেম্বর শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে আমাদের সাক্ষাৎ ঘটছে।" ট্রাম্পের এই ঘোষণার কয়েকদিন আগে থেকেই অবশ্য নবনির্বাচিত মেয়র মামদানি এই বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সোমবার সাংবাদিকদের তিনি জানান, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে তার দল হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে।

৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হওয়া জোহরান মামদানি আগামী ১ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন। তার এই বিজয়কে নিউইয়র্কের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের মতো একজন প্রভাবশালী জাতীয় নেতার সঙ্গে তার এই বৈঠক স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্পের ঘোষণার পর মামদানি বা তার দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে এই সাক্ষাতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিশ্লেষণ অব্যাহত রয়েছে। এই বৈঠক নিউইয়র্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে—যেমন: অবকাঠামো উন্নয়ন, কেন্দ্রীয় সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক নীতি—আলোচনার পথ খুলে দিতে পারে।