নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সদ্য সমাপ্ত রাজনৈতিক সংলাপ নিয়ে মুখ খুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি স্পষ্ট ভাষায় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন যে, জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং ১৪-দলীয় জোটকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত থাকাটা তাদের কাছে জনগণের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ। তবে এই দলগুলোকে সংলাপে না ডাকার পিছনে তিনি গণঅধিকার পরিষদের সক্রিয় ভূমিকাকেই প্রধান কারণ হিসেবে দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান এই বিষয়ে বিস্তারিত মতামত তুলে ধরেন। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, সংলাপ শুরুর আগেই তারা ইসির কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন, যেখানে স্পষ্টতই জাপা ও ১৪ দলকে সংলাপে না ডাকার দাবি জানানো হয়েছিল। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর এই বিষয়ে ততটা সক্রিয়তা দেখা যায়নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গণঅধিকার পরিষদের এই শীর্ষ নেতা নির্বাচন কমিশনের কাছে আরও কঠিন অবস্থান প্রত্যাশা করেছেন। তিনি বলেন, “গতকালও আমি স্পষ্টভাবে বলেছি— জাপা ও ১৪ দলকে সংলাপে ডাকলে সেটি গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বেইমানি হবে। জনগণ আপনাদের ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপোষ করার দায়িত্ব দেয়নি।” তার মতে, ইসিকে অবশ্যই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ‘মেরুদণ্ড সোজা করে’ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে।
রাশেদ খান জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোনো আপোষকামী আচরণ মেনে নেওয়া হবে না। যদি নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয় এবং কোনো আপোষের পথে হাঁটে, তবে গণঅধিকার পরিষদ জনগণের পক্ষে কঠোর এবং বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে সামান্যতম দ্বিধা করবে না। তার এই বক্তব্য প্রকারান্তরে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর নিষ্ক্রিয়তার দিকেও ইঙ্গিত করে, যেখানে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ইসির সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার দাবি জানাচ্ছে। এই দাবি বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করল।
