আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ। তার মতে, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে মাঠের বাস্তবতা অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীই পরবর্তী সরকার গঠন করতে চলেছে। একই সাথে, বিএনপিকে তাদের চাঁদাবাজি এবং বিভিন্ন 'অপকর্মের' জন্য সাধারণ মানুষের বিরক্তি ও হতাশার শিকার হতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দেওয়া তার ফেসবুক পোস্টে মুনতাসির মাহমুদ পরিষ্কার জানান যে তিনি ‘মাঠের রাজনীতি’ করেন, ‘এসি রুমে বসে রাজনীতি’ শেখেননি। এই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি নিশ্চিত যে, তৃণমূল স্তরের সাধারণ ভোটাররা এবার জামায়াতকে দেখতে চান, কেননা তারা দেশের প্রধান দুই দলকে দেখেছেন। তিনি আরও বলেন, দেশের বেশিরভাগ আসনে মানুষ বিএনপির চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অপকর্মে অত্যন্ত বিরক্ত। এই কারণেই পেশীশক্তি দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করা ছাড়া বিএনপির কার্যত কোনো উপায় থাকবে না।
মুনতাসির মাহমুদ তার পোস্টে জামায়াতের সম্ভাব্য ক্ষমতা গ্রহণ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন। তার মতে, জনসমর্থন আকাশচুম্বী হলেও, রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জামায়াত দলগতভাবে কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে তিনি সন্দিহান। তাদের জনসমর্থনের পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে ভোটকেন্দ্র রক্ষা এবং 'ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং' রুখে দেওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েও এই নেতা ঢাকা-১২ আসনে তার নির্বাচন করার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে তিনি এনসিপি নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে এনসিপি কোনো আসন পাবে না। একইসঙ্গে, তিনি জামায়াতকে তাসনিম জারা, ডা. মাহমুদা মিতু ও হাসনাতের মতো জনপ্রিয় মুখদের সংসদে আনার সুযোগ করে দিতে পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সম্প্রতি এনসিপি মুনতাসির মাহমুদকে সংগঠনের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। এই পটভূমিতে তার এই মন্তব্য দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
