জাতীয়

কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে: কানেক্টিভিটি ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা, সই হবে ৩ সমঝোতা

কূটনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে: কানেক্টিভিটি ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা, সই হবে ৩ সমঝোতা

দক্ষিণ এশিয়ার দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে আগামী শনিবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা সফরে আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে তিন দিনের এই সফরকে ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। এই সফরের মূল লক্ষ্য হলো দুই দেশের মধ্যে স্থল ও জলপথে কানেক্টিভিটি বা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করে তোলা।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী টোবগের এই সফরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে আঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসারে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে জলবিদ্যুৎ, পরিবহন, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান বিশেষভাবে প্রাধান্য পাবে। ভুটান বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আরও সুবিধা পেতে আগ্রহী, অন্যদিকে বাংলাদেশও ভুটান থেকে ক্লিন এনার্জি বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমদানিতে জোর দিচ্ছে। সফরের মাধ্যমে উভয় দেশই তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থকে সুসংহত করার কৌশল নির্ধারণ করবে।

শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত ও প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত কিছু বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা হতে পারে। সরকারের শীর্ষ সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই সফরকালে দুই দেশের মধ্যে মোট তিনটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার প্রধান ফোকাস থাকবে বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের উপর।

এছাড়াও, সফরের বিভিন্ন অংশে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টাবৃন্দের সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কর্মসূচি রয়েছে। এই সাক্ষাৎগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়াদি উঠে আসতে পারে। তিন দিনের এই সফল কূটনৈতিক কর্মসূচি শেষে আগামী সোমবার (২৪ নভেম্বর) ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ঢাকার মাটি ত্যাগ করবেন। এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন শতাব্দীর উপযোগী করে তোলার একটি সফল উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।