সর্বশেষ

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ডাকসু সদস্য: রাফিয়ার বাড়িতে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে অগ্নি-ষড়যন্ত্র

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ডাকসু সদস্য: রাফিয়ার বাড়িতে দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে অগ্নি-ষড়যন্ত্র

ঢাকা/ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়ার ময়মনসিংহের বাড়িতে দুর্বৃত্তদের কাপুরুষোচিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজ। বুধবার গভীর রাতে সিটি কর্পোরেশন এলাকার ঢোলাদিয়ায় তাঁর বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেরোসিন ও পেট্রোলের মতো দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা।

এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা সমাজের স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে হামলার প্রমাণ মিলেছে।

জানা যায়, রাত পৌনে ৩টার দিকে ঘটা এই হামলার সময় দুর্বৃত্তরা সুপরিকল্পিতভাবে প্রথমে ভীতির সঞ্চার করতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এরপর আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় ও পরিবারের তৎপরতায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে দাহ্য পদার্থের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রমে নেমে পড়েছে। হামলার প্রকৃতি দেখে এটি স্পষ্ট যে, এর নেপথ্যে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।

এদিকে, পুরো ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে ভিডিওটিতে আগুনের মাত্রা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এ ধরনের সম্পাদনা করা ভিডিও ছড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

ডাকসু নেত্রী রাফিয়া গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনার পরপরই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসন দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে।

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির বাড়িতে এমন হামলার ঘটনাকে একটি স্পষ্ট হুমকি হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। এই ঘটনা দ্রুত ও নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা এখন সময়ের দাবি। রাজনৈতিক বিভেদ ও প্রতিহিংসা যদি ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পর্যন্ত গড়ায়, তবে তা গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অশনি সংকেত।