বিশ্ব

ট্রাম্পের ৩৫০% শুল্ক হুমকিতে যুদ্ধ থামিয়েছে ভারত-পাকিস্তান

ট্রাম্পের ৩৫০% শুল্ক হুমকিতে যুদ্ধ থামিয়েছে ভারত-পাকিস্তান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের কূটনৈতিক সাফল্য নিয়ে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর ভাষ্যমতে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত (যুদ্ধ পরিস্থিতি) বন্ধ করার পেছনে কোনো প্রথাগত কূটনীতি নয়, বরং অর্থনীতির ভয় দেখানোই ছিল প্রধান অস্ত্র। ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত ইউএস-সৌদি ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের এক সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন, যা বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, যখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ছিল, তখন তিনি তাদের নেতাদের সরাসরি ৩৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। তিনি জোর দিয়ে জানান, এই অভূতপূর্ব শুল্কের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ সংঘাত থেকে সরে আসতে এবং যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয়। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে প্রচলিত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধারায় একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, যেখানে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ককে সরাসরি 'শান্তি স্থাপনের হাতিয়ার' হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, শুরুতে উভয় দেশের নেতারাই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসতে নারাজ ছিলেন এবং তাদের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ পাচ্ছিল। কিন্তু যখনই তিনি তাদের অর্থনীতিতে মারাত্মক আঘাত হানার মতো '৩৫০ শতাংশ শুল্ক'-এর কথা বলেন, তখনই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। এই দাবি ট্রাম্পের সেই পুরনো বক্তব্যের প্রতিধ্বনি, যেখানে তিনি প্রায় ৬০ বারেরও বেশি বলেছেন যে, এই বছরের মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা নিরসনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সমালোচকরা বলছেন, এই ধরনের দাবি ট্রাম্পের নিজস্ব স্টাইল, যেখানে তিনি কূটনীতির জটিল দিকগুলো সরলীকরণের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত সাফল্য জাহির করতে চান।

তবে, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এই দাবির সত্যতা ও প্রভাব নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। প্রশ্ন উঠেছে, সত্যি কি কেবল শুল্কের ভয়ই সংঘাত বন্ধের একমাত্র কারণ ছিল, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কূটনৈতিক বা সামরিক চাপ কাজ করেছে? ট্রাম্পের এই মন্তব্য কেবল তাঁর সমর্থকদের মধ্যেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যেও নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তাঁর এই 'শুল্ক কূটনীতি' আগামী দিনে অন্যান্য আঞ্চলিক সংঘাতের ক্ষেত্রেও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য একটি নতুন মডেল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।