রাজনীতি

চমকের অপেক্ষায় এনসিপি: ক্লিন ইমেজ ও বিএনপি-জামায়াত বর্জিতরা প্রার্থী তালিকায়!

চমকের অপেক্ষায় এনসিপি: ক্লিন ইমেজ ও বিএনপি-জামায়াত বর্জিতরা প্রার্থী তালিকায়!

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের নির্বাচনী রণকৌশল সাজাতে চলেছে এক ভিন্ন সমীকরণে। শুধু দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্তরাই নয়, বরং সমাজের বিভিন্ন পেশার ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় মুখদেরও ভোটের ট্রেনে সওয়ার করাতে চাইছে দলটি। এনসিপির নির্বাচনী পরিচালনা সমন্বয় কমিটির দায়িত্বশীলরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় বড় ধরনের চমক থাকবে। এই কৌশলের অংশ হিসেবে রিকশাচালক থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন পেশার মানুষ লড়বেন এনসিপির প্রতীক 'শাপলা কলি' নিয়ে।

দলটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, তারা ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর মধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতের মনোনয়ন না পাওয়া ক্ষুব্ধ ও আগ্রহী প্রার্থীদের একটি অংশও থাকবে। তিনি আরও দাবি করেন, এনসিপির লক্ষ্য হয় সরকার গঠন করা, নয়তো শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা। জোট গঠনের প্রসঙ্গে তিনি জানান, জুলাই সনদ ও সংস্কারের দাবিগুলোর সঙ্গে যে দল ঐক্যবদ্ধ হবে, তাদের সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।

তবে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এককভাবে নির্বাচনের দিকেই এগোচ্ছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা এককভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সব কটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কাজ করছি। সমঝোতা রাজনৈতিক বা আদর্শিক জায়গা থেকে হতে পারে, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা এককভাবেই এগোচ্ছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, চলতি মাসের মধ্যেই প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পরিচিত দুই মুখ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের এনসিপিতে যোগদানের ব্যাপারে দলটি আশাবাদী। তবে, ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্য যে কোনো দল থেকে তারা নির্বাচন করলেও এনসিপি সেটাকে ইতিবাচকভাবে দেখবে বলে জানিয়েছেন সারজিস আলম। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আশা করছেন, চলতি মাসের মধ্যেই প্রথম ধাপে ১০০ থেকে ১৫০ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।