শুক্রবার (আজ) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প বাংলাদেশে আঘাত হানে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী। এই মাঝারি মাত্রার কম্পনেই সারা দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, দেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ১০ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাঁচজন নরসিংদীতে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া রাজধানী ঢাকায় তিনজন এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে দুজন করে মারা গেছেন। এই ঘটনায় সারা দেশে অন্তত সাড়ে চার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আহতদের অধিকাংশকে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী জেলার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা এই হতাহতের ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তুলনামূলকভাবে ৫.৭ মাত্রা মাঝারি হলেও, দুর্বল নির্মাণ কাঠামো, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর মহড়ার অভাবই এই বিপুল সংখ্যক হতাহতের প্রধান কারণ। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন আখতারের মতে, সরকার উদ্ধারকাজের জন্য বাজেট রাখলেও, সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত করার জন্য মহড়ার বিকল্প নেই।
এই ভূমিকম্পের আঘাত আবারও প্রমাণ করে দিল যে, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে একটি ভূমিকম্প ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও এই কম্পনকে গত কয়েক দশকের মধ্যে ঢাকা ও তার আশপাশের অঞ্চলে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনা ভবিষ্যতে আরও বড় কম্পনের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাকেই জোরালোভাবে তুলে ধরেছে।
