জাতীয়

বড় ভূমিকম্পের পর বাইপাইল উৎপত্তিস্থল করে আবারও কম্পন, নিহত ১০ জনের পরিবারে শোকের ছায়া

বড় ভূমিকম্পের পর বাইপাইল উৎপত্তিস্থল করে আবারও কম্পন, নিহত ১০ জনের পরিবারে শোকের ছায়া

শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত এবং ১০ জনের প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ঢাকা সংলগ্ন গাজীপুরের বাইপাইল এলাকায় আবারও মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে অনুভূত এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল বাইপাইলই। এই ঘটনাটি নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে ভয় ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে, এই দ্বিতীয় কম্পনটির মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৩.৩। যদিও এটি 'মাইনর' ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত, তবুও পরপর দু’দিন ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে। গতকালের ভয়াবহতার স্মৃতি এখনও টাটকা থাকায়, যে কোনো মৃদু কম্পনও গভীর আতঙ্কের জন্ম দিচ্ছে।

এদিকে, গত শুক্রবারের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত ১০ জনের পরিবারে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। রাজধানী ঢাকায় ৪ জন, নরসিংদীতে ৫ জন এবং নারায়ণগঞ্জে ১ জনসহ মোট ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও বহু মানুষ আহত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে, দ্বিতীয়বারের কম্পন উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীদের মধ্যেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে।

ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে দায়িত্বরত পেশগত সহকারী নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, "উৎপত্তিস্থল বাইপাইল হলেও এটি ছিল একটি মাইনর কম্পন। স্থানীয়দের প্রতি আমরা শান্ত থাকার আহ্বান জানাই, তবে জরুরি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে উৎসাহিত করছি।" এই ধরনের ছোট ছোট কম্পন প্রায়শই বড় কম্পনের পরে অনুভূত হয় এবং তা ভূ-ত্বকের অভ্যন্তরের শক্তি ভারসাম্যকে নির্দেশ করে। স্থানীয় প্রশাসন এবং জরুরি পরিষেবা বিভাগগুলি বর্তমানে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।