জাতীয়

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী, আজহারীর পোস্টে গভীর 'আত্মসমালোচনা' ও কুরআনের বার্তা

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী, আজহারীর পোস্টে গভীর 'আত্মসমালোচনা' ও কুরআনের বার্তা

সম্প্রতি রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলে পরপর দু'বার মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী এক গভীর আত্মবিশ্লেষণমূলক বার্তা দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি ভূমিকম্পের ঘটনাটিকে গোটা জনপদের প্রতি এক গভীর সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করেন। তার এই পোস্টে তিনি শুধু ব্যক্তিগত আতঙ্কের কথা নয়, বরং কুরআনের আলোকে মানুষের দুর্বলতা ও সৃষ্টিকর্তার অসীম ক্ষমতার দিকটিও তুলে ধরেন।

ভূমিকম্পের সময় নিজ ভবনের কম্পন অনুভব করে আজহারী যে চরম আতঙ্কের সম্মুখীন হয়েছিলেন, তা অত্যন্ত আবেগঘন ভঙ্গিতে বর্ণনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, "আর কয়েকটা ঝাঁকুনি দিলে ঢাকায় হয়ত আজকে লাশের মিছিল হতো। নিমেষেই গোটা শহর পরিণত হতো নিস্তব্ধ এক গোরস্থানে!" সৃষ্টিকর্তার দয়াতেই এই যাত্রায় সবাই রক্ষা পেয়েছেন বলে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তবে এই ঘটনাকে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক 'রিমাইন্ডার' হিসেবে দেখছেন। তার মতে, অপরিকল্পিত নগরী, সারি সারি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং দুর্বল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের এই বাস্তবতায় আল্লাহর দয়া ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই। তিনি সমাজের সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়িকে ইঙ্গিত করে বলেন যে সৃষ্টিকর্তা সামান্য এক ঝাঁকুনি দিয়ে আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে "নাটাই কিন্তু আমার হাতে।"

পোস্টটিতে কুরআনের দৃষ্টিভঙ্গিও উঠে আসে। আজহারী বলেন, কুরআন অনুযায়ী মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে, আর ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে আমাদের অহংকার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে। এটি আমাদের অক্ষমতা এবং মহাশক্তিধর আল্লাহর সামনে আমাদের অসহায়ত্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। তিনি সকল ব্যস্ততার মাঝে মৃত্যু ও আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান এবং তওবা করে রবের কাছে ফিরে আসার গুরুত্ব তুলে ধরেন।