জাতীয়

১ সেকেন্ডের ব্যবধানে ২ বার ভূমিকম্প: আবহাওয়া অধিদপ্তর

১ সেকেন্ডের ব্যবধানে ২ বার ভূমিকম্প: আবহাওয়া অধিদপ্তর

মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে টানা তিনবার ভূমিকম্পের আঘাতে দেশের জনগণের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এই কম্পনগুলোর মধ্যে শুক্রবারের (২১ নভেম্বর) আঘাত ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী, যা ৫.৭ মাত্রায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ওইদিন সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে অনুভূত হওয়া এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী। এই মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পেই এখন পর্যন্ত সারাদেশে কমপক্ষে ১০ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত হয়েছে।

শুক্রবারের বিপর্যয়ের পর পরই শনিবার (২২ নভেম্বর) আবার দুই দফায় কেঁপে ওঠে দেশ। সকালে নরসিংদীর পলাশ থেকে উৎসারিত ৩.৩ মাত্রার মৃদু কম্পনের পর সন্ধ্যায় সবথেকে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় এক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি কম্পন অনুভূত হয়। প্রথমটি ছিল ৩.৭ এবং দ্বিতীয়টি ৪.৩ মাত্রার। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে এবং রাজধানীর কেন্দ্রস্থল থেকে একাধিক কম্পন অনুভূত হওয়া একটি অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার আঘাত হানা কম্পনের সময় সৃষ্ট আতঙ্কজনিত ঘটনায় ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে বা মাথায় আঘাত লেগে সারাদেশে অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এই বিপুল সংখ্যক আহতের ঘটনা দুর্যোগকালীন সময়ে জনগণের মধ্যে সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবকেই ইঙ্গিত করে।

বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন যে, ঘন ঘন এই ভূ-কম্পনগুলো দেশে বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকারকে দ্রুত এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা, ভবন নির্মাণ বিধিমালা কঠোরভাবে কার্যকর করা এবং বিশেষত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই ধারাবাহিক কম্পনগুলো বুঝিয়ে দিল যে, দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের অবকাঠামো এবং জনসচেতনতা উভয়ই এখনও যথেষ্ট প্রস্তুত নয়।