বরিশালের গৌরনদীতে নির্মাণাধীন ভবনের কাজকে কেন্দ্র করে দাবিকৃত মোটা অঙ্কের চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীসহ মোট তিনজন নারী। শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী পরিবারের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পৌর ছাত্রদলের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত দুই আসামি হলেন লাখেরাজ কসবা এলাকার মেহেদী আকন এবং টরকীরচর এলাকার শওকত হাওলাদার। তাদের উভয়ের বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজি ও মারধরের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের শনিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ব্যবসায়ী আজিজুল হক হাওলাদারের গৌরনদী পৌরসভার টরকীরচর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবন রয়েছে। সেই ভবনের তদারকির সময় স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, এই দাবির আগে অভিযুক্তরা মিষ্টি খাওয়ার নাম করে ১০ হাজার টাকা চাঁদা গ্রহণ করেছিল।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে অভিযুক্তরা অতর্কিতে বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলায় ছালমা আক্তারসহ আরও দুই নারী আহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যবসায়ী আজিজুলের স্ত্রী ছালমা আক্তার বাদী হয়ে চারজন নামধারী এবং ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গৌরনদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, মামলার সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে দ্রুত অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে গৌরনদী বন্দরস্থ বালুর মাঠ এলাকা থেকে দুই প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। তিনি আরও জানান, এই হামলার পেছনে আর কারা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং বাকি পলাতক আসামিদের ধরতে জোর তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ জরুরি।
