ধর্ম ও শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ঢাবি সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক, হল খালি করার নির্দেশ

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ঢাবি সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক, হল খালি করার নির্দেশ

সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হওয়া উদ্বেগের ফলস্বরূপ দুই সপ্তাহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবিগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে শনিবার (২২ নভেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এক জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল এজেন্ডা ছিল ভূমিকম্প পরবর্তী আবাসিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

এই সিদ্ধান্তের পেছনে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের ভূমিকা ছিল মুখ্য। ভিপি কায়েম তার ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেন, "পরপর দুইদিন ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর কথা মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কনসার্নগুলো আমরা মাননীয় ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার স্যারদের অবগত করি।" এর ফলশ্রুতিতেই জরুরি এসএমটি এবং সিন্ডিকেট মিটিং আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ।

সভায় বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল আবাসিক হলগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ ঝুঁকি নিরূপণ ও সামগ্রিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকল ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সাথে হলগুলোর পরীক্ষামূলক সংস্কারের জন্য রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকাল ৫টার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসন জানিয়েছে, এই দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি আবাসিক হলের প্রতিটি কক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এটি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং ভূমিকম্প পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। যদিও শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অফিসিয়াল কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। এই সিদ্ধান্তটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রশাসনের একটি তাৎপর্যপূর্ণ নজির হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।