বিশ্ব

বাইডেন জমানায় রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, ট্রাম্পের দাবিতে তুঙ্গে বিতর্ক

বাইডেন জমানায় রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, ট্রাম্পের দাবিতে তুঙ্গে বিতর্ক

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ট্রেড পলিসির অভূতপূর্ব সাফল্যের দাবি করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে ঝড় তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, সামরিক হস্তক্ষেপের বদলে অর্থনৈতিক চাপই বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অধিক কার্যকর হয়েছে। ট্রাম্প দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, তিনি যে আটটি যুদ্ধ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, তার মধ্যে পাঁচটি সরাসরি শুল্ক আরোপের কঠোর হুমকি দিয়ে থামিয়ে দিতে সক্ষম হন। এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে ‘অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ বনাম ‘সামরিক শক্তি’র বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

ট্রাম্পের মূল ফোকাস ছিল তাঁর শুল্ক নীতি, যা তিনি 'ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার' আয়ের উৎস হিসেবে তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, এই রাজস্ব শুধু মার্কিন কোষাগারকে সমৃদ্ধই করেনি, বরং বিশ্ব মঞ্চে দর কষাকষির ক্ষেত্রে আমেরিকাকে এক অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা দিয়েছে। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেন, এই অর্থ আর কোনো বিদেশী শক্তিকে নিজেদের শুল্ক ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রকে দুর্বল করতে দেবে না।

একই পোস্টে ট্রাম্প বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আক্রমণ করে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ট্রাম্পের দাবি, তাঁর ক্ষমতা ছাড়ার পর পুঁজিবাজার মাত্র নয় মাসের মধ্যে ৪৮ বার সর্বকালের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছিল এবং তাঁর নীতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় শূন্যে নেমে এসেছিল। 'স্লিপি জো বাইডেন'-এর (ঘুমকাতুরে) অধীনে মুদ্রাস্ফীতি আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে ছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। এই সমালোচনা মূলত আগামী নির্বাচনে তাঁর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক এজেন্ডার ভিত্তি তৈরি করে।

পোস্টের শেষ অংশে ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, কিছু সংস্থা বা দেশ যারা দীর্ঘদিন ধরে অন্যায় শুল্কের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তারা আর এই দেশকে ধ্বংস করতে পারবে না। এটি তাঁর ভবিষ্যৎ বাণিজ্য নীতি এবং দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতি ইঙ্গিত করে, যা তাঁর কোর ভোটার বেসকে আকৃষ্ট করার জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা।