খেলা

আইরিশ প্রতিরোধ ভেঙে নতুন কীর্তি তাইজুলের: স্পিন জাদুতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের!

আইরিশ প্রতিরোধ ভেঙে নতুন কীর্তি তাইজুলের: স্পিন জাদুতে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের!

ঘরের মাঠে স্পিন শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আয়ারল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট জয়টি নিশ্চিত হয় আইরিশদের ২১৭ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে। ম্যাচের পঞ্চম দিনে কার্টিস ক্যামফারের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ের মুখে একসময় ড্রয়ের সম্ভাবনা দেখা দিলেও, বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ সেই সম্ভাবনাকে ধূলিসাৎ করে দেয়।

ম্যাচের শেষ দিনে দিনের শুরুতে তাইজুল ইসলাম ইতিহাস রচনা করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তার এই কীর্তির পরই অবশ্য আইরিশরা ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কার্টিস ক্যামফার এক প্রান্তে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে যান, তার ৭১ রানের ইনিংসটি আসে ২৫৯ বলে। তিনি দুই গুরুত্বপূর্ণ জুটিতে ৪৮ ও ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে টাইগারদের জন্য কিছুটা উদ্বেগ তৈরি করেন।

তবে, দিনের শেষ ভাগে তরুণ বোলার হাসান মুরাদ আইরিশদের প্রতিরোধ ভাঙতে প্রধান ভূমিকা নেন। তিনি ১০৪ বলে ৩৭ রান করা হোয়িকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এবং দ্রুতই শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন। তাইজুল ও মুরাদ উভয়েই শেষ ইনিংসে ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন, যা বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের গভীরতা প্রমাণ করে।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৭৬ রান তুলেছিল মুশফিক (১০৬) ও লিটন দাসের (১২৮) জোড়া শতকের সুবাদে। জবাবে আইরিশরা ২৬৫ রানে গুটিয়ে গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা ভালো ব্যাটিং করে ২৯৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ইসলাম (৭৮), মুমিনুল হক (৮৭), মাহমুদুল হাসান জয় এবং মুশফিকুর রহিম (ফিফটি) প্রত্যেকেই ব্যাট হাতে অবদান রাখেন। এই বিশাল লিডই বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল। এই জয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও মজবুত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।