জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ (রোববার) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা' থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তেমন কোনো সক্রিয়তা না থাকলেও, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এটি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হিসেবে জানানো হলেও, হঠাৎ তার হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগ রয়েছে। বিশেষত, তার লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট জটিলতা চিকিৎসকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রেসকে জানান, নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বায়োকেমিক্যাল পরীক্ষা করানো প্রয়োজন ছিল, যার জন্যই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই পরীক্ষাগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মেডিকেল বোর্ড তার চলমান চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়টি এখন কেবল একটি পারিবারিক বিষয় নয়, এটি দেশের রাজনীতিতেও গভীর প্রভাব ফেলে। তার শারীরিক অবস্থার প্রতিটি আপডেট বিএনপি কর্মীদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা তৈরি করে। যদিও সরকার তাকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে, তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় দলের পক্ষ থেকে হতাশা প্রকাশ করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট আসার পরই জানা যাবে, তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে নাকি পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু দিন ভর্তি রাখা হবে। আপাতত দেশবাসীর নজর এভারকেয়ার হাসপাতালের দিকেই নিবদ্ধ।
