সাবেক এনসিপি নেত্রী নীলা ইসরাফিল তার সাম্প্রতিক ভিডিও বার্তায় জামায়াতে ইসলামী যদি ক্ষমতায় আসে, তবে দেশের নারী ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কী হবে, সেই বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি জামায়াতের অতীত কার্যক্রমের উদাহরণ টেনে দলটির ক্ষমতা গ্রহণের ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নীলা ইসরাফিলের মতে, জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীদের সুরক্ষার বিষয়টি পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। তিনি অতীতের কিছু নৃশংস ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, "বাউল শিল্পীদেরকে মেরে পিটিয়ে ফেলে দিচ্ছে। নারীদেরকে ওপেন মাঠে ধর্ষণ করছে। কি অদ্ভুত? এটা কোন দেশে আসছি?" তার এই বক্তব্য ইঙ্গিত করে যে, দলটির রাজনৈতিক উত্থান দেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলবে। তিনি এমন ঘটনাগুলোকে 'অদ্ভুত' আখ্যা দিয়ে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তবে এই প্রসঙ্গে তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। নীলা বলেন, "ড. ইউনূস বসে বসে কি করে? উনি কি এই জামায়াতে ইসলামীকে লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে প্রত্যেকটা জায়গায় মব সৃষ্টি করার?" এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রভাবশালী ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিত্বদের নীরবতা বা পরোক্ষ সমর্থন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও জামায়াতের 'মব সৃষ্টি'র সঙ্গে ড. ইউনূসের নাম জড়ানোর বিষয়টি বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।
তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, জামায়াতে ইসলামী স্বৈরাচারী। যদিও তিনি দেশের বর্তমান শাসক অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন, তবুও তিনি জামায়াতকেও একই ধরনের স্বৈরাচারী দল হিসেবে উল্লেখ করে উভয় পক্ষকেই একই মানদণ্ডে এনেছেন। তিনি দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, জামায়াতের মতো দল ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশটিকে দুর্বল করে দিতে চায়। সামগ্রিকভাবে নীলা ইসরাফিলের এই ভিডিও বার্তা দেশের রাজনীতিতে জামায়াতের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে একটি নতুন বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েছে।
