আইন ও আদালত

রামপুরা ২৮ হত্যা মামলায় রেদোয়ান-রাফাত ট্রাইব্যুনালে

রামপুরা ২৮ হত্যা মামলায় রেদোয়ান-রাফাত ট্রাইব্যুনালে

গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সংঘটিত ২৮ জন হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত চার আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের মধ্যে যেমন রয়েছেন বিজিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদওয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত বিন আলম মুন, তেমনি রয়েছেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিযুক্তরা হলেন— ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান। এই ঘটনায় সামরিক ও বেসামরিক উভয় বাহিনীর কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তির ফলে মামলাটির গুরুত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারিক প্যানেল, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, আজ এই অভিযোগের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রক্রিয়া শুরু করবে। সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল চত্বরে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়। কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে অভিযুক্তদের আদালতে আনা হয়।

তদন্ত সংস্থার জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়, যার ফলে ২৮ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন। অভিযুক্ত বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুলের বিরুদ্ধে সরাসরি গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ ছাড়াও, এডিসি রাশেদুল এবং ওসি মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ঘটনার সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতা এবং হত্যায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় এটি দেশের বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা হতে চলেছে। সাধারণ জনগণ এবং নিহতদের পরিবার ন্যায়বিচারের আশায় এই বিচার কার্যক্রমের দিকে তাকিয়ে আছে, যেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল বাহিনীর সদস্যরা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন।