রাজনীতি

মব সৃষ্টির প্রধান নায়ক ড. ইউনূস: মৌলবাদী উত্থানে নীরবতার অভিযোগ

মব সৃষ্টির প্রধান নায়ক ড. ইউনূস: মৌলবাদী উত্থানে নীরবতার অভিযোগ

দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাবেক এনসিপি নেত্রী নীলা ইসরাফিল সরাসরি ড. ইউনূসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক "মব" বা জনরোষ সৃষ্টির সমালোচনা করে বলেন, ড. ইউনূস বিদেশে ব্যস্ত থাকলেও দেশের অভ্যন্তরে এই মব সৃষ্টিকারের প্রধান নায়ক তিনি নিজেই। "জামায়াতে ইসলামী যেভাবে মব সৃষ্টি করছে বাংলাদেশে ড. ইউনূস সিটে বসে চুপচাপ দেখছেন," মন্তব্য করেন তিনি।

নীলা ইসরাফিল বাউল শিল্পীর গ্রেপ্তারের ঘটনাটিকে এই মৌলবাদী উত্থানের একটি ফল হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, বাউল শিল্পী কেবল স্বাধীনতার সঙ্গে গান গাওয়ার অধিকার দাবি করেছিলেন এবং নির্বাচনে সেই দলকেই ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন, যারা এই স্বাধীনতা দেবে। এটি কোনোভাবেই ধর্ম অবমাননা হতে পারে না বলে তিনি জোর দেন।

তিনি জোরের সাথে বলেন, বাংলাদেশ লালন, হাসন রাজা ও কাজী নজরুল ইসলামের মতো মহান ব্যক্তিত্বদের জন্মভূমি। এই সকল মনীষীর সৃষ্টিকর্ম আজও বাঙালিকে প্রেরণা যোগায় এবং তাদের গান ও কবিতা আন্দোলন-সংগ্রামের মূল অনুপ্রেরণা। এমন একটি দেশে যখন ইউনেস্কো-স্বীকৃত বাউল শিল্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন এটি কেবল একজন শিল্পীর স্বাধীনতা হরণ নয়, বরং "বাংলার মাটির আত্মাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলার" সমতুল্য।

তার মতে, এই দেশে যেখানে এখনও লালন চর্চা হয়, সেখানে বাউল শিল্পীকে শুধুমাত্র স্বাধীনভাবে গান গাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশের জন্য গ্রেপ্তার করা চরম অগণতান্ত্রিক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, জামায়াতে ইসলামী কীভাবে যেখানে সেখানে যাকে পাচ্ছে, তাকে ধরে মারছে, আর এই সমস্ত সামাজিক অস্থিরতা নিয়ে ড. ইউনূস কেনো কোনো কথা বলছেন না। তার এই নীরবতা দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন নীলা ইসরাফিল। এই পরিস্থিতি দেশের সাংস্কৃতিক কাঠামো ও মুক্তচিন্তার ওপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।