বিশ্ব

গাজায় প্রোটিনের অভাবের সঙ্গে যোগ হলো বিশুদ্ধ পানির সংকট, বাড়ছে রোগ!

গাজায় প্রোটিনের অভাবের সঙ্গে যোগ হলো বিশুদ্ধ পানির সংকট, বাড়ছে রোগ!

গাজার মানবিক পরিস্থিতি যুদ্ধবিরতির পরেও উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল-জাওয়ায়দা অঞ্চলের কমিউনিটি কিচেনগুলো বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষের খাবারের জোগান দিলেও, এই খাবারগুলিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব মারাত্মক। প্রধানত চাউল, পাস্তা ও ডালের ওপর ভিত্তি করে খাবার তৈরি হওয়ায়, দৈনিক ২০ হাজারের বেশি মানুষ প্রোটিন জাতীয় খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আমেরিকান নিঅর ইস্ট রিফিউজি এইড সংস্থার প্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, যদিও কিচেনের সংখ্যা ও রান্নার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে—আগে যেখানে ১৫টি হাঁড়ি ব্যবহৃত হতো, এখন ১২০টি হাঁড়িতে রান্না হচ্ছে—কিন্তু খাদ্যের মৌলিক মান বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। সংস্থাটির মতে, তাজা শাক-সবজি, মাংস এবং মুরগির মতো অত্যাবশ্যক প্রোটিন সরবরাহ এখনও মানবিক সাহায্যের জন্য 'অনুমোদিত' নয়। ফলে গাজার শিশুরা নিরুপায় হয়ে স্প্যাগেটি ও টিনজাত খাবার গ্রহণ করছে, যা তাদের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করছে।

অন্যদিকে, খাদ্য সংকট ছাড়াও এই অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে। সংস্থার একাধিক প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন যে, কমিউনিটি কিচেনগুলোতে এবং অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলিতে পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা নেই। অপরিষ্কার বা দূষিত জল পান করতে বাধ্য হওয়ার কারণে শিশু ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন জলবাহিত রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দ্বিমুখী সংকট (পুষ্টির অভাব ও দূষিত জল) গাজাকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে এবং অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে।