বলিউডের অন্যতম বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র সিং দেওলের জীবনাবসান নিয়ে সোমবার দিনভর এক তীব্র সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্বে কেটেছে। দেশীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএস এবং প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফিল্মফেয়ারের মতো একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র দাবি করেছে যে দীর্ঘ অসুস্থতার পর ৮৯ বছর বয়সে এই কিংবদন্তী অভিনেতা নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বলিউড পাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরেই ধর্মেন্দ্র শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতার কারণে ভুগছিলেন এবং মুম্বাইয়ের ব্রীচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। যদিও চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার খবর আসছিল, সর্বশেষ দাবি অনুসারে, সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এই অপ্রত্যাশিত দুঃসংবাদ মুহূর্তের মধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মজীবনের প্রতি সম্মান জানাতে অসংখ্য ভক্ত সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করতে শুরু করেন।
এদিকে, অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনদের গতিবিধি এই গুঞ্জনকে আরও উস্কে দেয়। সোমবার সকালে মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশানের দিকে অভিনেতার স্ত্রী হেমা মালিনী এবং মেয়ে এষা দেওলকে যেতে দেখা যায় বলে স্থানীয় গণমাধ্যম খবর দেয়। সেখানে তাদের সঙ্গে অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চনসহ বলিউডের আরও অনেক পরিচিত মুখ উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনাটিই প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করে একাধিক গণমাধ্যম ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবরটিকে সত্য বলে দাবি করতে থাকে।
তবে, এই দাবির বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে অভিনেতা দেওল পরিবারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতির অনুপস্থিতি। গতবারের গুজবের পর যেমন দ্রুত পরিবার বিবৃতি দিয়ে পরিস্থিতি সামলেছিল, এবার তা না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে। বলিউড বিশ্লেষকদের মতে, পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত একটি বিবৃতি না এলে এই গুজব দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ভুল বার্তা দেবে। আপাতত, সমস্ত চোখ আটকে আছে দেওল পরিবারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
