দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক পার্থক্য (Temperature Variation) এখন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকলেও রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দ্রুত ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নেমে এসেছে, যা শীতের অনুভূতিকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রার পার্থক্য ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এই অস্বাভাবিক উষ্ণতা ও শীতলতার মিশ্রণই সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
শুধুমাত্র তাপমাত্রা হ্রাস নয়, শীতের প্রকোপ বাড়ার পিছনে উচ্চ আর্দ্রতা এবং হিমেল হাওয়ার গতিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করার সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল রেকর্ড ৯৯ শতাংশ। একইসাথে ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া এই আর্দ্রতার সাথে মিশে তীব্র ঠান্ডা বাতাসের সৃষ্টি করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এই পরিস্থিতি অনেকটাই কষ্টকর।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, দিনের বেলা আকাশ পরিষ্কার হয়ে ঝলমলে রোদ উঠলেও, তাপমাত্রার এই নাটকীয় ওঠানামার কারণে জনজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষত, তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন যে এই পরিস্থিতি নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং এরপর হালকা শৈত্যপ্রবাহও আসতে পারে। এই কারণে প্রবীণ ও শিশুরা শীতজনিত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকতে পারেন বলে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে।
