রাজনীতি

জন-আন্দোলনে ভীত হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

জন-আন্দোলনে ভীত হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী সম্প্রতি একটি জনসভায় দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর উপর মারাত্মক আঘাতের অভিযোগ এনেছেন। তার মতে, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্য, এমনকি স্পীকারও দেশ থেকে পালিয়েছেন।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) পটুয়াখালীর মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, "বিশ্বের ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই যে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী এভাবে পালিয়ে যান।" তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনের চাপেই সরকারপ্রধান এবং সংশ্লিষ্টরা পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

সাবেক এই মন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন যে, দেশ ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকার সুচিন্তিতভাবে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে গেছেন। তিনি সরাসরি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মতো প্রতিষ্ঠানগুলির দুর্বলতা বা কার্যকারিতা হারানোর পেছনে সরকারের ভূমিকা দায়ী করেন। তার মতে, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ধ্বংসের ফলেই আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এক গভীর সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।

আলতাফ হোসেন চৌধুরীর মতে, এই 'পলায়ন' কেবল ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, বরং এটি একটি গভীর প্রাতিষ্ঠানিক সংকটের চিত্র তুলে ধরে। তার বক্তব্যে তিনি ইঙ্গিত দেন যে, সরকার নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র করছে, তা শুরু হয়েছে দেশের ভেতরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার মধ্য দিয়েই। মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন, যেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে এমন কঠোর বার্তা দেওয়া হলো।