বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা দেশে চলমান নৈরাজ্য ও মব সন্ত্রাসের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন যে, এসব কর্মকাণ্ডের প্রধান ভিকটিম হচ্ছেন নারীরা এবং সমাজের সংখ্যালঘুরা। একটি টক শোতে তিনি মন্তব্য করেন, "প্রথম টার্গেট হচ্ছেন নারীরা। এরপর সমাজের সংখ্যালঘুরা থাকছে টার্গেটে।"
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কোনো অভিনেত্রী শো রুম উদ্বোধনে গেলে বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনে অংশ নিলে সেখানে ঝামেলা করা হচ্ছে এবং বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। এমনকি মেয়েরা যখন ফুটবল খেলার মতো স্বাভাবিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, সেখানেও গিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তার মতে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হচ্ছে।
পরিসংখ্যানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেত্রী আরও জানান যে, গত এক বছরে ৩৬৫ দিনে ৩৮০টিরও বেশি মাজারে হামলা হয়েছে, কিন্তু একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। এটি বিচারহীনতার এক মারাত্মক সংস্কৃতি তৈরি করেছে।
রুমিন ফারহানা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, মব সন্ত্রাসের এই 'ট্রেন্ড' একবার চালু হলে তা বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন, গত কিছুদিন আগেও সাবেক এক সংসদ সদস্যের ভাইয়ের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে, যেখানে কেবল নারীরাই ছিলেন। তারা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, এখন যারা সরকারের সুবিধা ভোগ করছেন, ভবিষ্যতে যখন তারা কোনো কারণে অসুবিধাজনক অবস্থানে যাবেন, তখন এই 'ট্রেন্ড'-এর আক্রমণ থেকে তারাও নিশ্চিতভাবে রক্ষা পাবেন না। তিনি বর্তমান পরিস্থিতিকে 'ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের' সৃষ্ট একটি বিপজ্জনক ট্রেন্ড হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যা একটি অস্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে দেশকে চালিত করছে। তার মতে, রাজনৈতিক ফায়দা নিতে গিয়ে সরকার এমন একটি বিপজ্জনক চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
