রাজনীতি

যশোরে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার: রাজনৈতিক উত্তাপের নতুন ইঙ্গিত

যশোরে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার: রাজনৈতিক উত্তাপের নতুন ইঙ্গিত

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যশোর শহর থেকে বিস্ফোরক উপাদান ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যশোর কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ রানা নামে এক নেতার বাড়ি থেকে সাতটি ককটেল ও তিনটি পেট্রোল বোমাসহ মোট ১০টি বিস্ফোরক এবং তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালী মডেল থানার একটি দল রায়পাড়া এলাকায় আল মাসুদ রানার বাড়িতে অভিযান চালায়। ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, রানার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির উঠানের পাশে রাখা স্থান থেকে এসব বিস্ফোরক সামগ্রী ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করার পেছনে রাজনৈতিক নাশকতার কোনো উদ্দেশ্য ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। রানার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে থানা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার পর পরই ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক মহলে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। যশোর নগর যুবদলের সদস্য সচিব শেখ রবিউল ইসলাম রবি গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে এই আটকের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং 'ষড়যন্ত্রের শিকার' বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, যুবদল সন্ত্রাস বা সহিংসতাকে সমর্থন করে না, কিন্তু তার দীর্ঘদিনের পরিচিত কর্মীর এই ঘটনা তার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরেই দল সাংগঠনিকভাবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, নির্বাচনের আগে বা চলমান অস্থিরতার মধ্যে বিরোধী দলীয় নেতার বাড়ি থেকে এই ধরনের বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়া স্থানীয় রাজনৈতিক পরিবেশে অস্থিরতা বাড়াতে পারে। পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ এই অস্ত্রগুলো কোথা থেকে এলো এবং এর লক্ষ্য কী ছিল, তা অনুসন্ধানের মাধ্যমে পুরো ঘটনার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছে। সামগ্রিকভাবে, এই ঘটনাটি যশোর অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক সংঘাতের গতিপ্রকৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল।