প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকালে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় বহুল আলোচিত গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অনুমোদনের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ করা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে জনগণের সরাসরি ও চূড়ান্ত মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করার পথে আর কোনো বাধা রইল না।
সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী মহলের এই সিদ্ধান্তটি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় রচনা করল। গণভোটটি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হলো সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার বিষয়ে জনগণের সার্বভৌম রায়কে প্রতিষ্ঠা করা।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক আলোচনা ও সংস্কারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাবগুলো সরকারের কাছে জমা দিয়েছিল, সেগুলোর ওপর জনগণের স্পষ্ট মতামত নিতেই এই বিশেষ উদ্যোগ। গত ২০ নভেম্বর আইনটির প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার সময় উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, গণভোটের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে এটি অধ্যাদেশ আকারে দ্রুত পাশ করা হবে। আজকের বৈঠক সেই প্রতিশ্রুতিকেই বাস্তবায়ন করল।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, একইদিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা হলেও, সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের সরাসরি সম্মতি নিশ্চিত করা। এই অধ্যাদেশটি কার্যকর হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন দ্রুত গণভোট পরিচালনার জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করবে। এর মাধ্যমে দেশের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই গণভোট শুধু একটি ভোট নয়, এটি জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও ঐকমত্যের প্রতিফলন।
