৪৫ দিনের সীমিত প্রস্তুতির সময়কে কেন্দ্র করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ও ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। তারই ফলস্বরূপ গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) আন্দোলনকারী পরীক্ষার্থীরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ শাহবাগ মোড় অবরোধ করে। বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু করে শাহবাগ মোড়ে পৌঁছালে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।
আন্দোলনকারীদের প্রধান ও যৌক্তিক দাবি হলো, অন্যান্য বিসিএস পরীক্ষার তুলনায় এবার লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির সময় অত্যন্ত কম দেওয়া হয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, "আগের বিসিএসগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা লিখিত পরীক্ষার জন্য ৬ মাস থেকে এক বছর সময় পেয়েছেন। কিন্তু এবার সময় দেওয়া হয়েছে কম। এ সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। ৪৭তম বিসিএসের পরীক্ষার তারিখ পেছাতে হবে। প্রস্তুতির জন্য যৌক্তিক সময় দিতে হবে।" এই দাবিতে তারা ইতিপূর্বে স্মারকলিপি প্রদান, মিছিল, রেল ও সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।
শাহবাগে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলের পথ আটকানোর পর পরই পরিস্থিতি দ্রুত সহিংস হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা সেখানে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে। জবাবে পরীক্ষার্থীদের দিক থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় আন্দোলনকারীরা ২৫ জন এবং শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুরও আহত হয়েছেন। আন্দোলনের জেরে শাহবাগে বেশ কিছু সময় ধরে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকে, যা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
এদিকে, পিএসসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশালসহ আটটি কেন্দ্রে একযোগে ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আসনবিন্যাস প্রকাশসহ সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। পিএসসির এই অনড় অবস্থানের বিপরীতে পরীক্ষার্থীদের কঠোর অবস্থানে, এমনকি পরীক্ষা বর্জনের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় পুরো ৪৭তম বিসিএস প্রক্রিয়া একটি জটিল অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
