রাজনীতি

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের 'অনিবার্য বাঁক' তৈরি হয়েছিল - তারেক

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের 'অনিবার্য বাঁক' তৈরি হয়েছিল - তারেক

শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামের এক 'অনিবার্য বাঁক' তৈরি করেছিল, যা চূড়ান্ত বিজয়ের পথ খুলে দেয়। ডা. মিলন দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, নব্বইয়ের দশকের অন্যতম নির্ভীক কণ্ঠস্বর ডা. মিলনের রক্ত ৯ বছরের দীর্ঘ আন্দোলনকে বিজয় অর্জনের দিকে ধাবিত করতে অনুঘটকের কাজ করেছিল। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন, ডা. মিলনের বুকের তাজা রক্ত ও তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দৃঢ় অঙ্গীকারই দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছিল এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত ধরে দেশে আবারও গণতন্ত্রের সুবাতাস ফিরে আসে।

বর্তমান সময়ের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন যে, ক্ষমতাসীনরা গত ষোলো বছরে মানুষের সব অধিকার হরণ করে গণতন্ত্রকে অকার্যকর করে রেখেছে। মানুষের মালিকানা ও ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

তবে তিনি সম্প্রতি ৫ আগস্টে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার ঐক্যের কথা উল্লেখ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মনে করেন, এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেলেও 'দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা' এখনও থেমে নেই। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি দৃঢ় কণ্ঠে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, এই জাতীয় ঐক্য অটুট থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে পারবে না। তিনি শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দেন।