রাজনীতি

তোশাখানার উপহারও ব্যক্তিগত ভল্টে! দুর্নীতিতে নতুন মোড় হাসিনার

তোশাখানার উপহারও ব্যক্তিগত ভল্টে! দুর্নীতিতে নতুন মোড় হাসিনার

ক্ষমতাচ্যূত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তালিকায় এবার যুক্ত হলো তোশাখানার উপহারসামগ্রী ব্যক্তিগত ব্যাংকের ভল্টে রাখার গুরুতর অভিযোগ। যে ব্যক্তি একসময় নিজেকে জনগণের সেবক হিসেবে দাবি করতেন এবং 'নিঃস্ব আমি রিক্ত আমি' বলে জনসভায় আবেগ ছড়াতেন, তার ব্যক্তিগত ভল্ট থেকে বিপুল সম্পদ উদ্ধারের ঘটনা পুরো দেশের রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাজধানীর দিলকুশায় অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে শেখ হাসিনার নামে সংরক্ষিত দুটি গোপন ভল্ট (নং ৭৫১ এবং ৭৫৩) আদালতের নির্দেশে ভাঙা হয়। ভল্ট দুটি থেকে মোট ৮৩২ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়েছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা

তবে, কেবল স্বর্ণালংকারই নয়, সূত্র অনুযায়ী, ভল্ট থেকে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন উপহারসামগ্রীও পাওয়া গেছে। দেশের আইন অনুযায়ী, এসব উপহারসামগ্রী অবশ্যই সরকারি কোষাগার তথা তোশাখানায় জমা দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু তা না করে ব্যক্তিগত লকারে রাখায় এটি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হচ্ছে। সিআইসির একজন কর্মকর্তা জানান, এই আইন লঙ্ঘনের দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের হতে পারে।

উল্লেখ্য, এর আগেও চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মতিঝিলের পূবালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে শেখ হাসিনার নামে থাকা লকার জব্দ করেছিল সিআইসি। সেই লকারে পাওয়া যায় ১২ লাখ টাকার এফডিআর এবং ৪৪ লাখ টাকার নগদ অর্থ। এদিকে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ রেহানাসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার দিন আগামী ১ ডিসেম্বর ধার্য রয়েছে। এই সামগ্রিক ঘটনাপ্রবাহ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি ও অনিয়মের গভীরতা প্রকাশ করছে।