আইন ও আদালত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা: ট্রাম্পের আইনি কৌশল নিয়ে ফের প্রশ্ন, জরিমানা বহাল!

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা: ট্রাম্পের আইনি কৌশল নিয়ে ফের প্রশ্ন, জরিমানা বহাল!

মার্কিন রাজনীতিতে ফের আলোচনার কেন্দ্রে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার হিলারি ক্লিনটনসহ তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলার সূত্রে তাঁকে এবং তাঁর সাবেক আইনজীবী আলিনা হাবাকে ১০ লাখ ডলারের কাছাকাছি শাস্তিমূলক জরিমানা বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন ফেডারেল আপিল আদালত। এই রায় ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের আইনি পথে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টায় এক বিরাট ধাক্কা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের খবর অনুসারে, তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এই মামলাটি ছিল ‘ফ্রিভোলাস’, অর্থাৎ ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে দাখিল করা হয়েছিল। আপিল আদালত এই রায় বহাল রাখার মাধ্যমে ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের সেই কঠোর মন্তব্যকে সমর্থন জানাল, যেখানে বিচারক বলেছিলেন যে মামলাটি ‘কখনোই দাখিল করা উচিত ছিল না’ এবং এটি ‘বাজে উদ্দেশ্যে’ করা হয়েছে।

ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক ডোনাল্ড মিডলব্রুকস ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরেই মামলাটি খারিজ করে ট্রাম্প ও তাঁর আইন সংস্থাকে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৯ ডলার জরিমানা করেন। তিনি সেসময় বলেছিলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি ভিত্তিহীন মামলা ব্যবহার করেছেন। এটি বাজে উদ্দেশ্যের পরিচায়ক।” এই রায়ের মাধ্যমে আদালতের বার্তা স্পষ্ট—রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে আইনি প্রক্রিয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

রায় প্রদানকারী আপিল বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি উইলিয়াম প্রাইয়ার জুনিয়রের ৩৬ পৃষ্ঠার মতামতে বলা হয়, নিম্ন আদালত জরিমানা আরোপে ক্ষমতার কোনো অপব্যবহার করেনি। এই রায়ের পর ট্রাম্পের আইনি দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি ন্যায্য পরিণতি পর্যন্ত অনুসরণ করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই রায়ের ঠিক আগেই সিএনএনের বিরুদ্ধে করা ট্রাম্পের একটি মানহানির মামলাও একই আপিল আদালতে পুনরুজ্জীবিত হতে ব্যর্থ হয়, যা তার জন্য দ্বিতীয় ধারাবাহিক আইনি পরাজয়।