অন্যান্য

ক্ষমতার প্রভাবমুক্ত বিচার! প্লট জালিয়াতি মামলায় পুতুলের সাজা; রাজনীতিতে তোলপাড়

ক্ষমতার প্রভাবমুক্ত বিচার! প্লট জালিয়াতি মামলায় পুতুলের সাজা; রাজনীতিতে তোলপাড়

দেশের বিচারিক ইতিহাসে আজ এক ঐতিহাসিক দিন। প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। এই রায় দেশের বিচার ব্যবস্থায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা প্রমাণ করে আইনের চোখে ক্ষমতা বা রাজনৈতিক পরিচয় কোনো প্রভাব ফেলে না।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর নাগাদ যখন এ রায় ঘোষণা করা হয়, তখন আদালতের ভেতরে ও বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সাংবাদিকদের ভিড়। এই মামলাটি বিগত বছরগুলোতে শুধু আইনি বিতর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য হওয়ায় মামলাটির প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায়ের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারে। বিরোধী দলগুলো এই রায়কে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী নীতির ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরার সুযোগ পাবে, যদিও এই রায়টি প্রমাণ করে বিচার বিভাগ কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম। এই রায় দুর্নীতিবাজদের জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা বহন করছে—ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থেকেও পার পাওয়া সম্ভব নয়।

তবে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার পরিচিতির কারণে এই রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই আরও দীর্ঘায়িত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রায়ের পর পুতুল সমর্থকদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা লক্ষ্য করা গেলেও, সাধারণ জনগণের মধ্যে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বেড়েছে। তারা আশা করছেন, দুর্নীতি দমনে এই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ আরও অনেকের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করবে। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি উচ্চ আদালতেই নির্ধারিত হবে, কিন্তু আপাতত এই রায় দেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক অঙ্গনে এক গভীর ছাপ ফেলে গেল।