বিশ্ব

নজিরবিহীন কম্পন: সুমাত্রায় তীব্র আঘাত কতটা ঝুঁকিতে দক্ষিণ এশিয়া?

নজিরবিহীন কম্পন: সুমাত্রায় তীব্র আঘাত কতটা ঝুঁকিতে দক্ষিণ এশিয়া?

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় আঘাত হানা ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি কেবল একটি আন্তর্জাতিক খবর নয়, বরং এটি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জন্য এক বিশেষ সতর্কবার্তা। এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক তীব্র ভূমিকম্প। অতীতের রেকর্ড ভেঙে দেওয়া সেই ভূকম্পনটি ছিল সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এই দুটি ঘটনা দক্ষিণ এশীয় প্লেটগুলোর অস্থিরতাকে সামনে এনেছে।

গত শুক্রবার ঢাকাবাসী যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল, তা ছিল নজিরবিহীন। কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বহু মানুষ আতঙ্কে দ্রুত বহুতল ভবন ও অফিস ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হন। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী সেদিনের পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, এমন তীব্র ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা তাদের জীবনে প্রথম। পুরো শহরে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যেখানে বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং অফিসগুলো থেকে মানুষ জীবন বাঁচাতে দ্রুত নিচে নামতে শুরু করেন।

দুঃখজনকভাবে, নরসিংদীতে উৎপত্তি হওয়া সেই ভূমিকম্পে দেশজুড়ে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন আরও কয়েকশো মানুষ, যা এই অঞ্চলের ভূমিকম্পজনিত ঝুঁকির ভয়াবহতাকে স্পষ্ট করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা, সুমাত্রাসহ এই অঞ্চলে ঘন ঘন শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত ভৌগোলিক কারণে স্বাভাবিক হলেও, দুর্বল অবকাঠামো এবং সচেতনতার অভাব বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার সর্বশেষ ভূমিকম্প আবারও মনে করিয়ে দিল যে, ভূমিকম্প প্রস্তুতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আঞ্চলিক দেশগুলোর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।