রাজনীতি

উদ্বেগ বাড়িয়ে এভারকেয়ারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সিসিইউতে

উদ্বেগ বাড়িয়ে এভারকেয়ারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সিসিইউতে

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থাপনায় জরুরি পরিবর্তন আনা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকে কেবিন থেকে সরাসরি করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। এই আকস্মিক স্থানান্তর তার সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

জানা যায়, গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। বোর্ড তার চলমান রোগ, যেমন আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, এবং কিডনি জটিলতার প্রেক্ষিতে নিবিড় পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে সিসিইউতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এদিন হাসপাতালে গিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট নেন। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পরই সিসিইউতে স্থানান্তরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বহুমুখী স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত। গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যে (লন্ডনে) যান। সেখানে ১১৭ দিন থাকার পর ৬ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পরও তাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।

যদিও গত বুধবার পর্যন্ত শায়রুল কবির খান জানিয়েছিলেন যে চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে এবং তিনি মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে সিসিইউতে স্থানান্তরের খবর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো ঝুঁকি নিতে চাওয়া হচ্ছে না এবং তাকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

দলের পক্ষ থেকে ডা. জাহিদ দেশবাসীর প্রতি খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনার জন্য দোয়া চেয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে এখন তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির খবর জানার জন্য অধীর আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।