আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কৌশলগত ঘোষণা দিল গণঅধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে দলীয় সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানিয়েছেন, তারা মোট ৩০০ আসনেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রাজধানীর বিজয়নগরে দলের দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থী ঘোষণার অনুষ্ঠানে তিনি জানান, এ পর্যন্ত মোট ২০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে এবং বাকি ১০০ আসনেও দ্রুত প্রার্থী দেওয়া হবে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে এককভাবে অংশগ্রহণের দিকেই তাদের মনোযোগ স্পষ্ট হচ্ছে।
রাশেদ খান এই সময় দলীয় প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা এখনই নিজেদের নির্বাচনী এলাকাগুলোতে জোরদার জনসংযোগ শুরু করেন। তার মতে, নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মাঠের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ রাখা জরুরি।
যদিও ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তবুও জোটের বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে থাকা সমমনা অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই নির্বাচনী জোট গঠনের প্রাথমিক আলোচনা চলছে। যদি এই জোট আলোর মুখ দেখে, তবে আলোচনার ভিত্তিতে কিছু আসনে প্রার্থিতা পুনর্বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ, ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা মূলত দলের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন এবং ভবিষ্যতে দর কষাকষির জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করার কৌশল হতে পারে।
এদিকে, রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় রেখে দলটি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেছে। রাশেদ খান স্পষ্ট করে দেন যে, খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে তার নির্ধারিত তিনটি আসনে (যার মধ্যে দিনাজপুর-৩ অন্যতম) গণঅধিকার পরিষদ কোনো প্রার্থী দেবে না। একই সঙ্গে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন এবং একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে তাদের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
