রাজনীতি

ইসলামের মুখোমুখি বিএনপি? ফখরুলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবি তারেক রহমানের কাছে

ইসলামের মুখোমুখি বিএনপি? ফখরুলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবি তারেক রহমানের কাছে

জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ফরিদপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে মুফতি মুস্তাফিজুর রহমানের আকস্মিক পদত্যাগ বিএনপি-এর অভ্যন্তরে এক নতুন রাজনৈতিক ও আদর্শিক বিতর্কের সূচনা করেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং সরাসরি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে দলের নীতি থেকে সরে আসার গুরুতর অভিযোগ তোলেন।

মুস্তাফিজুর রহমানের মূল অভিযোগ, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত বাউল আবুল সরকারের বিতর্কিত বক্তব্যকে পরোক্ষ সমর্থন দিয়ে ইসলামপন্থী কর্মীদের মনে আঘাত করেছেন। তবে তাঁর পদত্যাগ কেবল একটি প্রতিবাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এটি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে একটি কঠোর বার্তা হিসেবে এসেছে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশে লেখা অংশে মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান বিশেষভাবে অনুরোধ করেন যেন মহাসচিবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তিনি লেখেন, “আপনার প্রতি অনুরোধ—দেশের জনপ্রিয় শাসক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল বিএনপিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোন মতলবে কাদের খুশি করতে ইসলামের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছেন, সে বিষয়েও যথাযথ খোঁজখবর নেবেন বলে আশা করছি।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, ওলামা দলের এই নেতার পদত্যাগ কেবল একটি ইউনিট পর্যায়ের ঘটনা নয়, এটি বিএনপির মূল আদর্শিক ভিত্তি এবং তারেক রহমানের প্রতি অনুগত ইসলামপন্থী কর্মীদের মনোভাবের প্রতিফলন। মুস্তাফিজুর রহমান তাঁর বিবৃতিতে ফখরুলকে 'ভণ্ড বাউলের পক্ষ নেওয়া'র অভিযোগ এনেছেন এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান তাঁর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জানান যে, বিএনপি মহাসচিবের এমন পদক্ষেপ দলের আদর্শিক কাঠামোতে ফাটল ধরাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় এবং সজ্ঞানে পদত্যাগ করেছেন, যার প্রতিবাদস্বরূপ। এই ঘটনা বিএনপির মতো একটি বৃহত্তর দলের মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির মধ্যেকার সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।