তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান মানবাধিকার দিবসের বিবৃতিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করার কাজে ব্যবহার করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, গাজায় ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান নির্যাতন প্রমাণ করে যে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ এবং এর মূল্যবোধগুলো বর্তমানে এক গুরুতর সংকটের মুখে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দেওয়া বিবৃতিতে এরদোগান মানবাধিকার পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানালেও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজের সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গাজা ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নির্যাতন থামেনি। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র মানবজাতির যৌথ মূল্যবোধের প্রতিফলন হওয়া সত্ত্বেও, বিশ্বজুড়ে বহু স্থানে এর নীতিমালা লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং ন্যায়বিচার প্রায় অনুপস্থিত।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মতে, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি মানবিকতার চরম বিপর্যয়। তিনি বলেন, “গাজা আজ এক বিরাট ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এটিকে যত দ্রুত সম্ভব পুনর্গঠন করা মানবজাতির যৌথ দায়িত্ব।” এরদোগান আরও স্পষ্ট করে বলেন, এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র স্থায়ী সমাধান হলো যুদ্ধবিরতিকে টেকসই করা এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের জন্য একটি স্থায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে বলেন, গাজাকে পুনরায় সংঘাতে টেনে নেওয়া ঠেকাতে হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে। তার এই বক্তব্য তুরস্কের জনগণের পক্ষ থেকে মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার এবং একই সাথে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বার্তা দেয়। এই দিনে, এরদোগান মানবাধিকার সনদের মর্যাদাকে রক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে ন্যায়ের ধারণাগুলোকে শক্তিশালী করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
