ধর্ম ও শিক্ষা

বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩,০০০ টাকা উপবৃত্তি দাবি: থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়নেরও জোর আহ্বান

বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩,০০০ টাকা উপবৃত্তি দাবি: থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়নেরও জোর আহ্বান

দেশের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে মাঠে নেমেছেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের বহুল আলোচিত ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হলেও, কদম ফোয়ারার কাছে তা পুলিশি বাধার মুখে পড়ে আটকে যায়। দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে এবং শিক্ষকরা রাস্তায় বসে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা কেবল এমপিওভুক্তি বা বিদ্যালয় স্বীকৃতির দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং তাদের দাবির কেন্দ্রে রয়েছে বিশেষ শিক্ষার্থীদের জীবনমানের উন্নয়ন। তাদের অন্যতম প্রধান দাবি হলো—প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি ৩,০০০ টাকা নিশ্চিত করা। বর্তমানে প্রচলিত উপবৃত্তির পরিমাণ অত্যন্ত কম হওয়ায় মানসম্মত শিক্ষা উপকরণ সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

এছাড়াও, শিক্ষার্থীদের উন্নত মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য মিডডে মিল, উচ্চ মানের শিক্ষাসামগ্রী, খেলাধুলার সরঞ্জাম এবং বিদ্যালয়গুলোতে থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করার দাবিও জানান তারা। শিক্ষকরা মনে করেন, থেরাপি সেন্টারগুলো এই শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়, যা তাদের শিক্ষাজীবনকে ফলপ্রসূ করতে সাহায্য করবে।

শিক্ষকদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো, বিশেষ শিক্ষার্থীদের জন্য ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় এনে তাদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি, চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোটা যেন সুনিশ্চিত করা হয়, সে বিষয়েও তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পুলিশের বাধার কারণে সড়কে যানজট সৃষ্টি হলেও, আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি আদায়ে অনড় থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।