রাজনীতি

তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অ্যাকশন: শিশির মনিরের প্রচারসামগ্রী অপসারণে তৎপরতা

তফসিল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অ্যাকশন: শিশির মনিরের প্রচারসামগ্রী অপসারণে তৎপরতা

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিশির মনির, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা জারির পরপরই তার নির্বাচনী এলাকায় স্থাপিত সব ধরনের প্রচারসামগ্রী অপসারণের কাজ শুরু করেছেন। তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও, তিনি নির্দেশনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিরাই পৌরসভা পয়েন্টে নিজ হাতে পোস্টার অপসারণ করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার প্রমাণ দিলেন।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার সকল সম্ভাব্য প্রার্থীকে কঠোরভাবে আগাম প্রচারসামগ্রী সরানোর নির্দেশ দেন। এই প্রজ্ঞাপন জারির পরদিন, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিশির মনিরকে দিরাই পয়েন্টে দেখা যায়, যেখানে তিনি তার প্রতীক 'দাঁড়ি পাল্লার' পোস্টারগুলো নিজে হাতে খুলে ফেলছিলেন।

অ্যাডভোকেট শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রের নির্বাচনী আইনে যেহেতু নতুন নিয়ম চালু হয়েছে এবং নির্বাচন একটি নতুন আঙ্গিকে পরিচালিত হবে, তাই তিনি এবং তার দল দ্রুততম সময়ে আইন মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, 'নতুন আইন জারি হয়েছে, নতুনভাবে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, সেই জন্য আমাদের পোস্টার আমরা নিজেরাই অপসারণ করছি।' তিনি আরও নিশ্চিত করেন যে, দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝুলানো তার সমস্ত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন আজকের দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা হবে।

এক সম্ভাব্য প্রার্থীর এমন স্বতঃস্ফূর্ত এবং দ্রুত সাড়া দেওয়াকে স্থানীয় প্রশাসন ও ভোটাররা ইতিবাচকভাবে দেখছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রার্থীর এই ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। দিরাই-শাল্লা আসনে নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপ অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্যও একটি বার্তা বহন করছে।