রাজনীতি

নির্বাচনী ব্যয় ব্যবস্থাপনায় কঠোরতা আনল ইসি

নির্বাচনী ব্যয় ব্যবস্থাপনায় কঠোরতা আনল ইসি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী ব্যয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন ও বিস্তারিত দিকনির্দেশনা সম্বলিত পরিপত্র জারি করেছে। এই পরিপত্রের মাধ্যমে প্রার্থীর নির্বাচনী খরচের ওপর কঠোর নজরদারি আনা হয়েছে, যা ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর ৪৪(খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কার্যকর হবে।

পরিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রত্যেক নির্বাচনী এজেন্টকে— আর এজেন্ট না থাকলে প্রার্থীকে নিজে— একটি তপশিলি ব্যাংকে পৃথক হিসাব খুলতে হবে। ব্যক্তিগত খরচ বাদে নির্বাচনসংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় অবশ্যই ওই নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব থেকেই পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত অর্থের উৎস ও গতিবিধি ট্র‍্যাক করা সহজ হবে।

ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান যুক্ত করা হয়েছে। 'নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০২৫' অনুযায়ী, এখন থেকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফরম দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে: ১. ফরম-২০: এতে নির্বাচনী ব্যয়ের সম্ভাব্য উৎসের বিস্তারিত বিবরণী দিতে হবে। ২. ফরম-২১: এতে প্রার্থীর সম্পদ, দায়-দেনা এবং বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে।

এই কঠোরতা কেবল নির্বাচনী ব্যয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতেই নয়, বরং প্রার্থীর আর্থিক অবস্থান এবং নির্বাচনী খরচের উৎস সম্পর্কে ভোটারদের কাছে একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরতেও সাহায্য করবে। একই পরিপত্রে সর্বোচ্চ তিন আসনে প্রার্থী হওয়ার সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি লাভজনক পদে থাকা ব্যক্তিদের নির্বাচন করার অযোগ্যতার বিষয়ও পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ইসির এই পরিপত্র স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে একটি নতুন মানদণ্ড তৈরি করল।