বিশ্ব

বিয়ের সূত্রে আসামে প্রথম সিএএ নাগরিকত্ব: বাংলাদেশি নারীর নতুন পরিচয়

বিয়ের সূত্রে আসামে প্রথম সিএএ নাগরিকত্ব: বাংলাদেশি নারীর নতুন পরিচয়

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর আওতায় প্রথমবারের মতো আসাম রাজ্যে একজন বাংলাদেশি নারী ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। ওড়িশায় ৩৫ জন নাগরিকত্ব পাওয়ার পর আসামের এই ঘটনাটি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শ্রীভূমি জেলার বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী এই নারী ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে ভারতে সিএএ-এর অধীনে নাগরিকত্ব প্রাপ্ত বাংলাদেশির সংখ্যা প্রথম ধাপে মোট ৩৬ জনে পৌঁছাল।

শিলচরের সাবেক ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের সদস্য এবং আইনজীবী ধর্মানন্দ দেব এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চিকিৎসার প্রয়োজনে শিলচরে আসার সময় স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয় এবং পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে।

আইনজীবী ধর্মানন্দ দেব আরও বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এই নারীকে নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫-এর ৫(১)(সি) ও ৬বি ধারার অধীনে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি ভারতীয় নাগরিককে বিবাহ করেন এবং টানা সাত বছর ভারতে বসবাস করেন, তবে তিনি নিবন্ধনের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভ করার যোগ্য বলে বিবেচিত হন। এই আইনি বিধানের মাধ্যমেই দীর্ঘ অপেক্ষার পর এই বাংলাদেশি নারী তার নতুন পরিচয় অর্জন করলেন।

উল্লেখ্য, সিএএ-এর মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা। এই নারী সেই বিধান অনুসারেই নাগরিকত্ব লাভ করলেন। অন্যদিকে, ওড়িশায় একই দিনে ৩৫ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে নাগরিকত্বের সনদ দেওয়া হয়েছে, যারা সরাসরি ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন। এই দুই রাজ্যেই সিএএ-এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া বর্তমানে জোরেশোরে চলছে।