বিশ্ব

ফিলিস্তিন ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার নীতিকে কাঠগড়ায় তুললেন নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিন ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার নীতিকে কাঠগড়ায় তুললেন নেতানিয়াহু

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসবে হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া সরকারের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তই মূলত দেশের অভ্যন্তরে ইহুদিবিদ্বেষ এবং এর ফলস্বরূপ সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এই ঘটনায় ২ জন মুসলিম হামলাকারীর নাম উঠে আসার পর, নেতানিয়াহু বিষয়টিকে বৃহত্তর ফিলিস্তিন-হামাস সংঘাতের অংশ হিসেবে তুলে ধরছেন।

নেতানিয়াহু সরাসরি অস্ট্রেলিয়ার নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে প্রকারান্তরে হামাস নামক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা করা। তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে তিনি তিন মাস আগেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে, কারণ এটি অস্ট্রেলিয়ার একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতিগত সিদ্ধান্তকে সরাসরি সন্ত্রাসবাদের সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে একই বন্ধনীতে রেখে তাদের সন্ত্রাসবাদের মূল কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি স্পষ্ট জানান, বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমন করতে হলে এর মূল উৎপাটন করতে হবে। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির জন্য ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দায়ী করার পুরনো নীতিতে আবারও অটল থাকার বার্তা দিলেন।

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে গেল ২১ সেপ্টেম্বর ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য স্পষ্টতই সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের তীব্র অসন্তোষের প্রতিফলন। সিডনির সাম্প্রতিক হামলা নেতানিয়াহুকে সেই অসন্তোষ জনসমক্ষে আনার সুযোগ করে দিয়েছে, যার ফলে অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জটিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।