বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ক্ষমতাসীন দল এবং জামায়াতে ইসলামীর অতীত রাজনৈতিক ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি ১৯৯১ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট টেনে বলেন, এরশাদ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত জনগণের সাথে বেইমানি করেছিল, কিন্তু বিএনপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল থেকে ক্ষমতায় এসেছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিগত বছরগুলোতে যখন রাজপথে ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরেছে, মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠন করা হয়েছে, তখন এই দলগুলো কোথায় ছিল?
নজরুল ইসলাম খান বর্তমান সময়ের ‘লোভের রাজনীতি’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে অবর্ণনীয় নিপীড়ন সহ্য করেও বিএনপি মাঠ ছাড়েনি। অথচ এখন ক্ষমতার স্বাদ পেতে কত ধরনের ‘লোভ’ এবং কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে তা দেশের মানুষ খুব ভালো করেই বোঝে। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, ধর্মের দোহাই দিয়ে বা পরকালের প্রাপ্তির লোভ দেখিয়ে যারা রাজনীতিতে সুবিধা নিতে চায়, তাদের বিচার দেশের মানুষই করবে। তার মতে, জনগণের সংগ্রামের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা কখনো সফল হবে না।
একই সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে না পারলে তা পরাধীনতার শামিল হবে। তিনি চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ওপর জোর দেন। নজরুল ইসলাম খান এবং সালাহউদ্দিন আহমদ উভয়েই সতর্ক করে দেন যে, যদি জনগণ এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, তবে গণতন্ত্রের সংগ্রাম আবারো হোঁচট খেতে পারে। তারা বিজয় দিবসের মূল চেতনা নিয়ে দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
