শরীফ ওসমান হাদির ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বিজয় দিবসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি একে 'গণতান্ত্রিক পথচলার ওপর আঘাত' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পরাজিত ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের এই অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন অন্যতম লড়াকু যোদ্ধা হওয়ায় তার ওপর এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছে বর্তমান সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জানান, হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর হাদির শারীরিক অবস্থা বর্তমানে বেশ আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে এবং সরকার তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার ও নিরাপত্তা বহন করছে। তিনি বলেন, “পরাজিত শক্তি রক্ত ঝরিয়ে জনগণের বিজয়কে ম্লান করতে চায়, কিন্তু আমরা তাদের সেই ফাঁদে পা দেব না।” তিনি দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার এবং ফ্যাসিস্টদের কোনো প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সতর্ক করেন।
ভাষণে হাদিকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার আবেগঘন বক্তব্য জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি বলেন, বিজয় দিবসের আনন্দের দিনে এমন একটি বেদনার সংবাদ আমাদের সবাইকে শোকাহত করেছে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সাহসী মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে রুখে দেবে। যারা এই ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছে, তাদের ঠিকানা হবে কারাগার—এমন স্পষ্ট বার্তাও তিনি তার ভাষণে প্রদান করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদ আর কখনোই জায়গা পাবে না।
পরিশেষে, প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীর কাছে শরীফ ওসমান হাদির দ্রুত রোগমুক্তির জন্য দোয়া চেয়েছেন। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, যারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তারা অবশ্যই পরাজিত হবে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্রের ওপর এই আঘাতের বিচার দ্রুততম সময়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি তার বক্তব্যের ইতি টানেন। এই হামলার মাধ্যমে যারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, তাদের কঠোর শাস্তির মাধ্যমে সরকার একটি নজির স্থাপন করতে চায়।
