ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমার ছবি দেখতে এত মানুষ আসবে বুঝিনি, কল্পনাও করিনি। সেই ২০০৩ সাল থেকে নিয়মিত সিনেমা করা ছেড়ে দিয়েছি। অনেক দিন পর দর্শকের সামনে এলাম। তা-ও আবার ভিন্নরূপে। ভেবেছিলাম, মানুষ ভুলে গেছে আমাকে। মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একটা কাজ করেছি। আমরা কয়েকজন ‘রাগী’ দেখতে মধুমিতা, চিত্রামহল ও নিউ গুলশান সিনেমা হলে গিয়েছিলাম। আমাদের ঘিরে দর্শকের যে আগ্রহ দেখেছি, খুব ভালো লেগেছে। দর্শকেরা আমাকে এখনো পর্দায় দেখতে চান, হলে গিয়ে বুঝতে পারলাম। নায়িকা থেকে খলনায়িক—আমাকে নতুনভাবে দেখেছেন দর্শক। ছবির পরিচালককে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এমন একটি চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজের সুযোগ দিয়েছেন। প্রথম দিন কয়েকটি হলে গিয়ে দর্শকের চাপে আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।
অনেক দিন পর অভিনয় করার মতো, কাজ করার মতো চরিত্র পেয়েছি ‘রাগী’ ছবিতে। চরিত্রটির ওজন আছে। লেডি ভিলেন। ছবিতে আমার এন্ট্রিটাও দারুণ হয়েছে। এ রকমের গল্প বা কাজ করার মতো চরিত্র পেলে অবশ্যই কাজ করব। এখন আমাকে যদি দুই-তিনটা সংলাপ ধরিয়ে দিয়ে কলাগাছের মতো দাঁড় করিয়ে রাখে, নামেই থাকল যে ছবিতে মুনমুন আছে, তাহলে তো সেখানে কোনো কিছুই করার সুযোগ থাকল না। কিন্তু কাজ করার মতো চরিত্র হলে অবশ্যই করব। কারণ, আমি তো শিল্পী। একসময় এটি আমার পেশা ছিল। হয়তোবা মাঝখানে সে রকম ভালো অফার পাইনি। এ জন্য বিরতি দিয়ে কাজ করেছি। তবে নিয়মিত কাজ করতে আরও একটু সময় নিতে চাই। আগে দেখি, ‘রাগী’ ছবির মতো চিত্রনাট্য, চরিত্র আসে কি না।