বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হিমায়িত চিংড়ির নয়টি চালান যুক্তরাজ্যের ফিলিক্সস্টো বন্দরে আটকা পড়েছে। ওই সব চালানে প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ কোটি টাকার সমান।
রপ্তানিকারকেরা বলছেন, বাংলাদেশের মৎস্য কর্মকর্তাদের দেওয়া ভুল প্রত্যয়নপত্রের কারণে চালানগুলো আটকা পড়েছে। এতে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তবে ভুল প্রত্যয়নপত্র দেওয়া কর্তৃপক্ষও পণ্য খালাসে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
রপ্তানির ক্ষেত্রে হিমায়িত চিংড়ির মান পরীক্ষার পর মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে প্রত্যায়নপত্র নিতে হয়। তারা চিংড়িতে রোগজীবাণু, অ্যান্টিবায়োটিক, ভারী ধাতু, কীটনাশক, রঞ্জকসহ ক্ষতিকর কিছু আছে কি না, পরীক্ষা করে।
রপ্তানিকারক এবং মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে খুলনা আঞ্চলিক মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে যুক্তরাজ্যে রপ্তানির জন্য দেওয়া ৩০টি চালানের প্রত্যয়নপত্রে আমদানিকারক দেশের দেওয়া শর্তের কিছু ধারা বাদ পড়ে যায়। অসম্পূর্ণ ওই প্রত্যয়নপত্র নিয়ে রপ্তানি হওয়া নয়টি চালান আটকা পড়ে।
আটকে থাকা চালানগুলো খুলনার অ্যাটলাস সি ফুড, ছবি ফিশ প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ, ক্রিমসন রোসেলা সি ফুড, ব্রাইট সি ফুড, ন্যাশনাল সি ফুড, মডার্ন সি ফুড ও যশোরের এমইউসি ফুডের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন রপ্তানিকারক প্রথম আলোকে বলেন, ঠিক সময়ে পণ্য খালাস করতে না পারায় বিদেশি ক্রেতারা সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি দিনের জন্য ক্ষতিপূরণ (পোর্ট ডেমারেজ) দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব পণ্য ফেরত আনা লাগবে, নাকি খালাস করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
‘আগের ছোটখাটো সমস্যা দুই দেশের সরকারি কর্তৃপক্ষের সমঝোতায় সমাধান হয়েছে। এবার কিছুটা ঝামেলা হচ্ছে। পণ্যের সমস্যা নেই। যেকোনোভাবেই তারা যদি নিশ্চয়তা চায়, আমরা দিতে রাজি আছি।’
লিপটন সরদার, মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের খুলনার মৎস্য