Home / সেঞ্চুরিতেও নটআউট পরাণ

বিনোদন

সেঞ্চুরিতেও নটআউট পরাণ

সেঞ্চুরিতেও নটআউট পরাণ

১০০ দিন পার করল ‘পরাণ’। মাল্টিপ্লেক্সসহ দেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে এখনো সগৌরবে চলছে ছবিটি। টানা ১০০ দিন দাপটের সঙ্গে চলা, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে ব্যতিক্রমী উদাহরণ। সে বিচারে এটি একটি রেকর্ড। ১০০ দিনে এসে ছবিটি থেকে আয়ের একটা মোটামুটি হিসাব পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে বক্স অফিস হিসাব এখনো ঠিকঠাক পাওয়া যায় না। ছবি মুক্তির পর থেকে প্রতিদিনের বা প্রতি সপ্তাহের আয়ের বিষয়টি দর্শক তো দূরের কথা, খোদ ছবির শিল্পী, পরিচালকেরাও জানতে পারেন না। ছবির পরিবেশক বা প্রযোজকেরা প্রকাশ করেন না। কিন্তু এবার কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে—দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো থেকে যতটুকু হিসাব হাতে এসেছে, তাই দিয়ে আয়ের একটা ধারণা দিয়েছে ছবিটির প্রযোজক ও পরিবেশক সংস্থা।
ছবির পরিবেশক সংস্থা অভি কথাচিত্র সূত্রে জানা গেছে, পুরোপুরি এক শ দিনের হিসাব এখনো তাঁদের হাতে আসেনি। দেশের প্রেক্ষাগৃহ থেকে টিকিট বিক্রির হিসাব যতটুকু হাতে এসেছে, তাতে ১২ যার মধ্যে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচ শাখার ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার টিকিট। ঢাকার যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসে গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকার টিকেট।

লায়ন সিনেমাসে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ টাকা। মাঝে দুই সপ্তাহ বিরতি দিয়ে ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহের পূরবী হলে ৮৬ দিন ধরে চলছে ছবিটি। গত ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই হলে মোট ১৪ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা ও বাইরের বিভিন্ন একক হল থেকে এসেছে ৩ কোটি টাকার বেশি। ভ্যাট, ট্যাক্স বাদ দিয়ে হলমালিকের সঙ্গে ভাগাভাগির পর টিকিট বিক্রির মোট টাকা থেকে প্রযোজকের ঘরে এসেছে প্রায় ৩ কোটি। ছবিটি মুক্তির সময় প্রযোজক সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রচার খরচসহ ৮৭ লাখ টাকা বাজেটের ছবি ‘পরাণ’।

ছবির পরিবেশক জাহিদ হোসেন বলেন, এক শ দিনের হিসাব পুরোপুরি হিসাব হাতে এলে টিকিট বিক্রির অঙ্ক আরও বাড়বে। পরিবেশক জানিয়েছেন, এখনো সিনেপ্লেক্সের পাঁচ শাখায় প্রতিদিন দশটি, ব্লকবাস্টার সিনেমাসে তিনটি, লায়ন সিনেমাস ও চট্টগ্রাম সিলভার স্ক্রিনে দুটি করে শো চলছে। সিনেপ্লেক্সে এখনো প্রতিদিন কিছু শো হাউসফুল যাচ্ছে। ঢাকার বাইরেও কয়েকটি একক হলে চলছে পরাণ। এ অবস্থায় দেশের প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি আরও কত দিন চলবে, নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। এতে করে ‘পরাণ’–এর মোট টিকিট বিক্রি ১৫ কোটি পার হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ছবির পরিবেশক ও প্রযোজক।

ছবির অন্যতম প্রযোজক ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘বিভিন্ন হল থেকে টিকিট বিক্রির টাকার হিসাব আগে পরিবেশকের কাছে আসে। সেখান থেকে আসে প্রযোজকের কাছে। সব হিসাব এখনো আমাদের হাতে আসেনি। ছবিটি এখনো মাল্টিপ্লেক্সসহ ১১টি হলে চলছে। তাই টাকার সঠিক অঙ্ক দিতে আরও সময় লাগবে।’