দেশের তাপমাত্রা কমার প্রবণতার মধ্যেই আবহাওয়া অধিদপ্তর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি নতুন লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করেছে। আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যেই এই লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এই সম্ভাব্য প্রাকৃতিক ঘটনাটিকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষকরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, এই লঘুচাপটি পরবর্তী সময়ে আরও ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, বাংলাদেশের উপকূল বা স্থলভাগে এর সরাসরি কোনো বড় ধরনের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। ফলে দেশের সাধারণ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্কই থাকবে। এই লঘুচাপের গতিপথ ও তীব্রতার ওপর আবহাওয়া অধিদপ্তর নিবিড় নজর রাখছে, তবে আপাতত দেশবাসীকে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
এদিকে, এই পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে যে, আগামী দুইদিন অর্থাৎ শুক্র ও শনিবার সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এই তাপমাত্রা কমার প্রবণতা চলতি মাসের শেষের দিকে শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। মূলত আগামী দুইদিন পারদ কিছুটা নামার পর আবার কিছুদিনের জন্য তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দেশের সার্বিক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তাপমাত্রা কমতে থাকায় ভোরের দিকে দেশের কিছু স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের আমবাগানে, ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামগ্রিকভাবে, শীত নামার প্রস্তুতির মাঝেও বঙ্গোপসাগরের সম্ভাব্য লঘুচাপের বিষয়টি আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
