অন্যান্য

প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কর্তন: দাম্পত্য প্রতারণার জেরে বাংলাদেশি নারী আটক; ১১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি

প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কর্তন: দাম্পত্য প্রতারণার জেরে বাংলাদেশি নারী আটক; ১১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি

মালয়েশিয়ায় প্রেমিকের দাম্পত্য প্রতারণা জানার পর চরম ঈর্ষা থেকে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগে এক বাংলাদেশি নারী আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন। অভিযুক্ত নারী, বেগম মাসুমা, বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে বিনা জামিনে আটক রাখার নির্দেশ দেন।

ঘটনাটি ঘটে গত ৮ অক্টোবর ভোররাতে জোহরের গেলাং পাতাহ এলাকার একটি কারখানার পেছনের বস্তিতে। কারখানার উৎপাদন বিভাগে কর্মরত মাসুমা জানতে পারেন তার প্রেমিক, বাবু মণ্ডলের (৩৩), বাংলাদেশে আরেকজন স্ত্রী রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই ঈর্ষা থেকেই মাসুমা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবু মণ্ডলের শরীরে গুরুতর আঘাত করেন। পুলিশ এই ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরিকে 'প্রাণঘাতী অস্ত্র' বলে আখ্যা দিয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জুহাইনি জুল কাফলি আদালতকে জানান, এটি একটি গুরুতর এবং জামিন অযোগ্য অপরাধ। অভিযুক্ত নারী বিদেশি নাগরিক এবং তার বৈধ অভিবাসন নথি না থাকায়, তিনি জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেন। আদালতের পক্ষ থেকে এই আবেদন মঞ্জুর করা হয় এবং বেগম মাসুমাকে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১১ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এই শুনানিতে আদালত একজন বাংলাদেশি দোভাষী নিয়োগের নির্দেশ দেন, যাতে অভিযুক্ত নারী অভিযোগের ভাষা পুরোপুরি বুঝতে পারেন এবং আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি গ্রহণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া যায়।

এদিকে, বেগম মাসুমার বিরুদ্ধে একই দিনে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তে জানা যায়, তিনি কোনো বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই দেশে প্রবেশ করেছিলেন। এই অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের শাস্তি সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড বা ১০,০০০ রিঙ্গিত জরিমানা, অথবা উভয়ই হতে পারে।

মাসুমার এই অমানবিক প্রতিশোধের ঘটনাটি মালয়েশিয়ার জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, এমন কাজ গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়। একজন প্রবাসীর এমন গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়া দেশের ভাবমূর্তি এবং প্রবাসীদের সামগ্রিক আইনি অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।